রেজাউল করিম পারভেজ : লক্ষ্মীপুর কাকলি শিশু অংগন স্কুলের হলকক্ষে এক মন মুগ্ধকর বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।অনুষ্ঠানে আটটি দল অংশগ্রহণ করে।
এবং এই প্রাণবন্ত বিতর্কের বিষয় ছিল; “শহরের জীবনের চেয়ে গ্রামের জীবন ভালো”
বিতর্ক প্রতিযোগীতা তিন দিন ব্যাপী পরিচালিত হয়ে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আজকে ১লা অক্টোবর মঙ্গলবার সমাপনী ঘোষনা করা হয়।
এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জনাব রাজীব কুমার সরকার, লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট এবং সভাপতি কাকলি শিশু অংগন। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন জনাব মুজিবুর রহমান অধ্যক্ষ কাকলী শিশু অংগন ও সহকারী কমিশনার এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জনাব সম্রাট খীসা,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইটিসি) লক্ষ্মীপুর। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন মাসুদ আলম, সহকারী সিনিয়র শিক্ষক কাকলি শিশু অংগন লক্ষ্মীপুর।
লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার একজন সেরা বিতর্কিত ছিলেন,তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্নভাবে বিতর্কের সুন্দর উপকারিতা, প্রয়োজনীয়তা, এবং ছাত্র-ছাত্রীদের মেধাবিকাশে কতটা প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তা তুলে ধরেন। বিভিন্ন সময় বক্তাদের গোছানো দীর্ঘ বক্তব্য সংক্ষিপ্ত আকারে নিলে মূল যে জিনিসটি বেরিয়ে আসে সেটা হল;
যুক্তিপূর্ণ তর্কই হচ্ছে বিতর্ক। সুন্দর করে গুছিয়ে, যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে যখন কেউ কথা বলে, শুনতে নিশ্চয়ই সকলের ভালো লাগে। সেই ব্যক্তির কথা নিশ্চয়ই মন দিয়ে শুনতেই ইচ্ছা করে।
চোখ বন্ধ করে ভাবো তো, কোন মানুষদের সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে? যিনি খুব সুন্দর, সাবলীলভাবে তোমাদের সামনে কথা বলেন। অর্থাৎ যিনি সুন্দর করে কথা বলতে পারেন, তিনিই তোমাদের মন জয় করে নিতে পারেন। সুন্দরভাবে, গুছিয়ে কথা বলা একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগ্যতা। এই যোগ্যতা অর্জনে সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যম বিতর্কচর্চা। বিতর্ক তাই খুব উঁচুমাপের শিল্প।
এই বিতর্ক প্রতিযোগিতায় তিস্তা দল দ্বিতীয় হয় এবং বিজয়ী দল হয় কর্ণফুলী দল। সেরা বক্তা হিসেবে নির্বাচিত হয় অভি।
অনুষ্ঠান শেষে পুরস্কার বিতরণ করা হয় এবং জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকারের লেখা, “এসো বিতর্ক শিখি” বইটি উপহার দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠান শেষে প্রতিযোগীদের বিতর্কের উপর আরও ভালো করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধারণা দিয়ে দেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসকের উৎসাহে এই ধরনের বিতর্ক প্রতিযোগিতা সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের বাজে আড্ডা এবং মোবাইল আসক্তি থেকে মুক্তি দেবে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলবে বলে স্কুলের শিক্ষক, অভিভাবক এবং সাধারন মানুষ মনে করেন।
Leave a Reply