অপরাজেয় কন্ঠ ডেস্ক: যে কোন বয়সের মানুষই অতিরিক্ত গরমে অসুস্থ হতে পারেন
হিমশীতল বা লু-হাওয়া যে তাপমাত্রাই হোক না কেন, মানব শরীরের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া তার নিজের তাপমাত্রা নির্দিষ্ট রাখতে চায়।
শরীরে তাপমাত্রার তারতম্যের কারণেই কেবল মানুষ জাগতিক কাজকর্ম করে থাকে।
কিন্তু সূর্যের তাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মূল তাপমাত্রা নির্দিষ্ট একটি মাত্রায় ঠাণ্ডা রাখার জন্য শরীরকে বাড়তি কাজ করতে হয়।
এর ফলে ত্বকের কাছাকাছি রক্তবাহী ধমনীগুলো তীব্র তাপ চারপাশে ছড়িয়ে দিতে বেশি করে কাজ করতে শুরু করে, আর তখনই ঘাম হতে শুরু করে।
সে শ্বেতবিন্দুর সঙ্গে শরীর থেকে ক্রমে তাপ বেরিয়ে যেতে থাকে।
কখন সমস্যা হয়?
শুনতে খুব সাধারণ শোনালেও, শরীরের জন্য ব্যপারটি মোটেও সহজ নয়। যত গরম, মানব শরীরের জন্য তা সামলানো তত কঠিন।
অতিরিক্ত গরমে কাউকে অসুস্থ হয়ে পড়তে দেখলে শুরুতেই তাকে আধা ঘণ্টা ঠাণ্ডায় রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
যদি তাতে তিনি সুস্থ হয়ে যান, তাহলে বুঝতে হবে, অসুস্থতা গুরুতর নয়।
তীব্র গরমে কাউকে অসুস্থ হয়ে পড়তে দেখলে কী করা উচিত, সে বিষয়ে ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কিছু পরামর্শ দিয়েছে।
ঐ ব্যক্তিকে যত দ্রুত সম্ভব ঠাণ্ডা জায়গায় নিয়ে যেতে হবে।
অনেক সময় তারা নিজেদের অস্বস্তির কথা বুঝিয়ে বলতে পারে না, যে কারণে মা-বাবারা সঠিক সময়ে ব্যবস্থা নিতে পারে না।
ওষুধের কারণে কি ঝুঁকি বাড়ে?
হ্যাঁ।
কিন্তু মানুষ তো সাধারণত কোন সমস্যার জন্যই ওষুধ খায়, ফলে শরীর ঠাণ্ডা রাখার জন্য তাদের ভিন্ন ব্যবস্থার কথা ভাবতে হবে।
হার্ট অ্যাটাক বা হিট স্ট্রোক ছাড়াও আরো নানা ধরণের জটিলতার মধ্যে পড়ে শরীর।
ব্রিটেনে প্রতিবছর প্রায় দুই হাজার মানুষ মারা যায় গরমে।
পুরানো রেকর্ডে দেখা যায় তাপদাহ শুরুর প্রথম ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মানুষ বেশি মারা যায়।
২০০৩ সালে ইউরোপ জুড়ে তাপদাহে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল।
তাপদাহের সময় কী করা উচিত?
করণীয় একেবারে সাদামাটা—ঠাণ্ডা থাকুন আর শরীরকে পানিশূন্য হতে দেবেন না।
গরমে রোদের মধ্যে কাজ না করা এবং বেশি পরিশ্রমের কাজ করা থেকে বিরত থাকা ভালো।
ঘরে দিনের বেলাতে পর্দা টেনে দিন। প্রচুর পানি এবং দুধ পান করুন।
সাধারণত দিনের বেলাতেই গরমে বেশি হয়। কিন্তু রাতের অতি গরমও শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
Leave a Reply