মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
লালমনিরহাটে নানা প্রতিভার অধিকারী দীপক চন্দ্র রায়। তাঁর বয়স ৫২-এঁর কোঠায়। ১৯৮১ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়াকালীন সময়ে সখের বসে গান-বাজনা করা দীপক আয়ত্ব করেছেন বিভিন্ন পশু-পাখির ডাক। দেশী-বিদেশী শিল্পীর গানসহ পারেন ঢোল-তবলা ও হারমোনিয়াম বাজাতে। এতো কিছু জানার পরেও চরম অর্থ-কষ্টে দিন পারছেন দীপক। তাই সরকারে কাছে চেয়েছেন আর্থিক সহযোগীতাও।
লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের সাতপাটকী গ্রামের নরেন্দ্র নাথ রায় ও রেনুকা রানী রায়-এঁর পুত্র দীপক চন্দ্র রায়। তিনি ১৯৮১ সালে স্থানীয় কাজীর চওড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ার সময় সঙ্গীতের উপর ব্যাপক ভাবে আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। তাঁর ধ্যানে-জ্ঞানে সব সময় চলতো সঙ্গীতের চর্চায়।
অভিনয়ের উপর ভালোবাসা থাকায় এফডিসিতে গিয়ে শাবনুর-ফেরদৌস অভিনীত বাংলা সিনেমা “ঘড়ের লক্ষী”-তে আত্মীয়-স্বজনের চরিত্রে অভিনয়ও করেছেন। জনপ্রিয় এটিএন তারকা অনুষ্ঠানের তৃতীয় ধাপ পর্যন্ত গিয়েছিলেন তিনি। এছাড়া “কইতে পারিনা প্রিয়া” নামের একটি ক্যাসেটও বের করেছেন। এরপরও ভাগ্য দেবী সহায় হয়নি দীপকের উপর। নিজের উপর এমনি আক্ষেপ দীপকের।
জীবনের ৫২টি বসন্ত পার করেও অভিনয়ের প্রতি একটুও ভাটা পরেনি তাঁর। অভিনয় পেশায় সুযোগ আর সফলতা না পেয়ে দীপক টেইলারিং, গার্মেন্টস ও চায়ের দোকানে কাজ করেছেন। সর্বশেষে করছেন সুপারীর ব্যবসাও। বর্তমানে নানাবিধ জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন এই সঙ্গীত শিল্পী।
স্ত্রী পদ্মানী রানী জানালেন, অভিনয় পাগল মানুষটির সাথে দীর্ঘ ২৫টি বছর পার করেছি। অভিনয়ের উপর তাঁর যে প্রেম, ভালবাসা, মমত্ববোধ তা এখনও অটুট। সঙ্গীত পাগল মানুষটির প্রতি সরকার একটু নজর দিলে অনেক উপকার হতো।
দু’মেয়ের বিয়ে দেয়ার সময় এনজিও থেকে নেয়া ঋণের বোঝা চলমান। এখন দুজনের সংসার চালাতেই হিমসিম খেতে হচ্ছে প্রতিনিয়তই। তারপরও সঙ্গীত চর্চা ধরে রাখতে চান দীপক। সে জন্য সকলের কাছে চেয়েছেন সহযোগীতাও।
দীপক রোগ মুক্ত হয়ে নতুন উদ্দীপনায় সঙ্গীত চর্চা করে এগিয়ে যাবে এমন প্রত্যাশা সকলের। সহায়তায় করতে- ০১৭০৬৭৭৪৭৮৪ (দীপক) নম্বরে যোগাযোগ করলে উপকৃত হবে।
Leave a Reply