বিগত ৫ বছর রায়পুর উপজেলাবাসীকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ভূমি দখলমুক্ত উন্নয়ন ও সেবা দিয়ে জনগণের আস্তা অর্জন করে পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ। উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় শতাধিক রাস্তা, অসংখ্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং উপজেলাবাসীকে হয়রানিমুক্ত নিরলস সেবা দিয়ে জনগণের আস্তা অর্জন করেছেন তিনি। সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান হিসেবে সৎ, নির্লোভ, শিক্ষিত ও ধর্মীয় অনুরাগী হিসেবে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রায়পুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে জনগণ অধ্যক্ষ মামুনকে দেখতে চায় উপজেলাবাসী। গত ২দিন সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার সাধারণ জনগণের সাথে আলাপকালে এ দাবি সাংবাদিকদের কাছে উপস্থাপন করে তারা।
উপজেলার ২নং উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের জেলে সম্প্রদায়ের সাথে আলাপকালে তারা জানান, বিগত উপজেলা নির্বাচনে বিপুল ভোট নিয়ে নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ ৫ বছরে উপজেলার সকল এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। আমাদের ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তা পাকা করে দিয়েছেন। পানির সমস্যা দুরীকরণে ডিপ টিউবওয়েল স্থাপন করেছেন। এছাড়াও নতুন মাটির রাস্তা বাঁধাইকরণসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনুদান প্রদান করেছেন। এছাড়াও চরবংশী ইউনিয়নের জেলেদের সাথে কোন ধরণের অন্যায়, জমি জবরদখল ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম করেননি। এমন সৎ ও নির্লোভ মানুষকেই তারা আবারো উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায়।
উপজেলার ৮নং দক্ষিন চরবংশী, ১নং উত্তর চরআবাবিল, ৯নং দক্ষিন চরআবাবিল ও ৩নং চরমোহনা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্তরের জনগণ, মসজিদের ইমাম, স্কুলের শিক্ষক ও খেটে খাওয়া অসহায় মানুষের সাথে আলাপকালে তারা জানান, অধ্যক্ষ মামুন নির্বাচিত হওয়ার পর অন্যায় করেননি এবং অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি। তিনি মানুষের উপকার ও এলাকার উনয়নে কাজ করেছেন। উপজেলার উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় সর্বস্তরের জনগণ পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে তাকেই চায়।
বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রবীন ও ত্যাগী আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ জানান, ১৯৯২ সালে লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, ১৯৯১ সাল থেকে রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পরবর্তীতে সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ২০১৫ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত অধ্যক্ষ মামুন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে অত্যন্ত সুণামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ ২০২৩ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে সর্বাধিক সমর্থন নিয়ে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পান। দায়িত্বকালীন সময়ে অধ্যক্ষ মামুনের নেতৃত্বে সকল ইউনিয়ন ও পৌরসভায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান-মেয়র নির্বাচিত হন। দলকে সুসংগঠিত করতে তিনি নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বিগত কোন নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি এবং দলীয় সিদ্ধান্তের বাহিরে কর্মকান্ড করেননি। দলের নেতাকর্মীরা তার সৎকম, নির্লোভ ও সন্ত্রাসমুক্ত কর্মকান্ডকে প্রচন্দ করে পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করতে বদ্ধপরিকর।
সরেজমিনে এলাকাবাসীর থেকে আরো জানা যায়, বিগত করোনার সময়ে অধ্যক্ষ মামুন উপজেলার মানুষের নিজের জীবন বাজি রেখে মানুষের দারপ্রান্তে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। কারো কোন বিপদের সংবাদ পেলে তাদের কাছে ছুঁটে চলে আসেন। তার বিরুদ্ধে জমি দখল বা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ নেই। এসমন ভদ্র নম্র মানুষই রায়পুর উপজেলার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে পারবে। এজন্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে জনগণ অধ্যক্ষ মামুনকে দেখতে চায়।
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে। চেয়ারম্যান পদে দটি মনোনয়ন জমা হয়েছে। আগামী ৩০ এপ্রিল মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন।
Leave a Reply